মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নে নিরীহ সিএনজি চালক মো.হোসাইন (১৭) এর হত্যাকান্ডে জড়িত মূলহোতারা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এক মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হয়েছে। তবে পুলিশ হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন করতে কাজ করছে। তবে ঘটনার পরপরই পুলিশ আব্দু রহমান নামের এক যুবককে আটক করে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের জালিয়ারচাং এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হোছাইন দুর্বৃত্তের হাতে নিষ্টুরভাবে খুন হওয়ার পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং জিআর ৩৭। নিহত হোছাইনের চাচা মোজাফ্ফর আহমদ অভিযোগ করেছেন, থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে মামলা তুলে নিতে আসামীরা নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। মামলার পর থেকে স্থানীয় রুবেল ও আতাউল্লাহ মোবাইলে ফোন করে ও বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ায় হোছাইনের পরিবারের সদস্যরা আতংকে রয়েছে বলে তিনি জানান।

 নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর আতাউল্লাহ ও রুবেল নামের দু’যুবক আতœগোপন হয়েছে। এদের মধ্যে রুবেলের বাড়ি একই ইউনিয়নের কেরনছড়ি এলাকয়। অপর যুবক আতাউল্লাহ’র বাড়িও একই এলাকায়।

 নিহত মো.হোসাইনের মা হামিদা বেগম জানিয়েছেন, গত ২৬মার্চ রাতের যেকোন সময়ে তার ছেলে মো.হোসাইনকে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে তার লাশ জালিয়ারচাং টেইট্যাখালী বিলের ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়। আমার ছেলেকে হাত-পা রশি দিয়ে বেধে গলার পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। ঘটনার দিন আব্দু রহমান, রুবেল, আতাউল্লাহসহ ৫জনকে স্থানীয় মাহমদ মাঝিসহ লোকজন প্রায় ১টার দিকে ঘটনার দিন রাতে কাছারীমুড়া দেখতে পান।

একই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক কি.মিটার দক্ষিনে জালিয়ারচাং বড়পাড়া এলাকায় জাহেদ নামে এক ব্যক্তি একই ব্যক্তিদের ভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করতে দেখতে পান। অপরদিকে যেখানে লাশ পাওয়া গেছে ওই স্থানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে ঘুরাফেরার সময় দেখতে পান দু’জন মৎস্য শিকারী। তবে ওই তিন যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক ও বিচলিতভাব দেখছিলেন স্থানীয়রা। এর সুত্র ধরে ঘটনার আব্দু রহমানকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

 হামিদা বেগম জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের ঘটনার দিন রাতে পুলিশের হাতে আটক আব্দু রহমান আতাউল্লাহ’র বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। নিহত মো.হোসাইনের জেঠা মোজাফ্ফর জানিয়েছেন, খুন হওয়ার পর আতাউল্লাহ ও রুবেলসহ তিন যুবক রাজাখালীর ছরি পাড়া গ্রামের আতœীয়’র বাড়িতে আতœগোপনে ছিলেন। খুনের বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ চারিতা হয়। বিষয়টি পাশ্ববর্তী এক মহিলা শুনতে পান। মোজাফ্ফর আহমদ অভিযোগ করেছেন, আব্দু রহমানের বাড়ি থেকে পুলিশ হত্যাকান্ডের কিছু আলামত জব্দ করেছেন। এসবে মধ্যে হোসাইনের ব্যবহৃত লুঙ্গি, প্যান্ট ও লুঙ্গি মোড়ানো একটি ধারালো দা উদ্ধার হয়েছে। আতাউল্লাহ’র বাড়িকে ঘিরে হত্যাকান্ডের মুল রহস্য।

 স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬মার্চ গভীর রাতে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের গর্জনীয়াপাড়া এলাকার দুবাই প্রবাসি আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মো.হোসাইনকে গলাকেটে হত্যা করে। স্থানীয়রা সকালে টেইট্যাখালী বিলে তার লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারনা হয়।

বাদি হামিদা বেগম বলেন আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে নিষ্টুরভাবে খুন করা হয়েছে। আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

 মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার এস.আই সুমন এর কাছে জানতে তার মুঠোফোনে যোগোযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই মামলার তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার ক্লু উদ্ঘাটন করতে চেষ্টা চলছে।

#################

পেকুয়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উপকরণ বিতরণ

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়া উপজেলা কৃষি অফিস উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে গতকাল ৫মে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহার এর উদেশ্য বিনা মূল্যে ট্রাপ ও টোপ বিতরণ অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এইচ এম মনিরুজ্জামান রব্বানী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছৈয়দ আলম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বাবু অপরূপ দে প্রমূখ। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পেকুয়া, এর উদ্যেগে সাজনা গ্রাম, সৃস্টি, এবং বিনা মূল্যে সাজনার কাটিং বিতরণ, কৃষকের মাঝে সচেতনতা সাজনা রোপন পদ্ধতি শেখানো হয়। ৭১ মণ সাজনার কাটিং বিতরণ অথাৎ ৩৫০০টি সাজনার কাটিং বিনা মূল্য বিতরণ করা হয়েছে।